Monday, April 27, 2020

রবীন্দ্রের লেখায় দ্বীন ইসলাম সংশ্লিষ্ট কিছুই নেই, কারণ রবীন্দ্রদের পৃথিবীতে মুসলমানদের জন্য কোনো জায়গাও নেই
==





রবীন্দ্রের লেখায় দ্বীন ইসলাম সংশ্লিষ্ট কিছু নেই, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। আবুল মনসুর আহমদ রচিত ‘বাংলাদেশের কালচার’ বইয়ের একটি উক্তি এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে তুলে ধরা হয় যে, “রবীন্দ্রের বিশ্ব-ভারতীর আকাশে কতোবার শরতের চন্দ্রোদয় হয়েছে, কিন্তু একদিনের তরেও সে বিশ্বের আকাশে ঈদ-মোহররমের চাঁদ উঠেনি।”
রবীন্দ্রদের এই মানসিকতা বিশ্লেষণে বসনিয়ার মুসলিম গণহত্যার একটি ঘটনা তুলে ধরা যেতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত The Bridge Betrayed: Religion and Genocide in Bosnia বইতে উল্লেখ রয়েছে-
The northeast Bosnian town of Zvornik was known for its heritage of Bosnian Muslim poets, saints, rebels, and mystics. From April through July of 1992 the Serb military killed or expelled the entire Muslim population. After all the mosques in the primarily Muslim town were dynamited and ploughed over, the new Serb nationalist mayor declared: "There never were any mosques in Zvornik." History could now be rewritten according to the desires of those who wished to claim that this land was always and purely Christian Serb.
অর্থ: বসনিয়ার উত্তরপূর্ব সভোরনিক শহরটি মশহুর ছিল তার মুসলমান কবি, আউলিয়া এবং সূফী ঐতিহ্যের জন্য। ১৯৯২ সালের এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সার্ব সন্ত্রাসীরা শহরটিকে সম্পূর্ণ মুসলিম শূন্য করে। মুসলিম প্রধান শহরটির প্রতিটি মসজিদকে ডিনামাইট দিয়ে বিধ্বস্ত করা হয়, অতঃপর মসজিদের জায়গাগুলো সমান করে সম্পূর্ণ চিহ্ন বিলীন করা হয়। শহরটির নবনির্বাচিত খ্রিস্টান মেয়র অতঃপর ঘোষণা দেয়, “সভোরনিক শহরে কখনোই কোনো মসজিদ ছিল না!” ইতিহাসকে এবার তাদের ইচ্ছানুযায়ী নতুন করে রচনা করা সম্ভব হলো, যারা দাবি করতে চায় যে এই শহরে সর্বদা একমাত্র খ্রিস্টানরাই বসবাস করত।”
এখন পূর্ব ইউরোপের সার্ব খ্রিস্টান বা ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়, যারা যথাক্রমে তুর্কী উসমানীয় শাসক এবং মোগল শাসক তথা মুসলমানদের প্রজা ছিল, তারা বাহ্যিক আচার-আচরণে মুসলমানদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করলেও সর্বদাই শয়নে-স্বপনে মুসলিম শাসনের অবসান কামনা করেছে। মুসলমানদের তীব্র ঘৃণা করা সত্ত্বেও তাদের অধীনে থাকতে হয়েছে বিধায় তাদের মনে বংশ পরম্পরায় আফসোস জন্ম নিয়েছে এই মর্মে যে, তাদের দেশে একটি মুসলমানও যদি না থাকত! এই চেতনা থেকেই তারা বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির বানায়, তাজমহলকে মন্দির দাবি করে। মুসলিম নামাঙ্কিত শহর-স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে। কারণ একদা মুসলমানদের গোলামি করার ইতিহাস মুছে ফেলার তাগিদে তারা মুসলমানদের অস্তিত্বই স্বীকার করতে চায় না।
রবীন্দ্রের লেখায় দ্বীন ইসলাম সংশ্লিষ্ট কিছুই নেই। কারণ রবীন্দ্র ও তার সম্প্রদায় ভুক্তদের যে দেশ কাম্য, যে পৃথিবী কাম্য, তাতে মুসলমানদের জন্য কোনো জায়গাও নেই। এই চেতনা থেকেই বর্তমানে ভারত সরকার তাদের দেশ থেকে সমস্ত মুসলিম বের করে দিতে চায়।

No comments:

Post a Comment